আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালার চরে শামীম মিয়ার (১২) সঙ্গে ১৬ বছরের ভাগ্নির অসম বিয়ে অতঃপর নিবন্ধন বাতিল করেছেন কাজী আঃ হাই।জানা যায়, গত ২১ জুলাই উক্ত গ্রামের আঃ কাদেরের পুত্র শামীম মিয়ার সঙ্গে কালু মন্ডলের মেয়ের বিয়ে নিবন্ধনে বাধ্য হন ইউনিয়ন কাজী আঃ হাই। এসময় বিয়ে পক্ষের (উভয় পক্ষের) কিছু অপরিচিত ব্যক্তিবর্গ তাকে (কাজীকে) নানান হুমকী-ধামকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে বিয়ে নিবন্ধনে বাধ্য করানো হয়েছে। বিয়ে নিবন্ধনে বর শামীম মিয়ার নামে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের স্বাক্ষর সম্বলিত জন্ম সনদ প্রদর্শন করা হলেও কনের নামে জন্ম সনদ প্রদর্শন করা হয়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের স্বাক্ষর সম্বলিত। এরপর কাজী আঃ হাই মামা ভাগ্নির এ অসম বিয়ে বাতিল করেন। তিনি উল্লেখ করেন জন্ম সনদ দু’টির একটিও অনলাইনে নেই। বিয়ে পক্ষের লোকজন তাকে বাধ্য করে বিয়ে নিবন্ধনে। বাসায় এসে তিনি এ নিবন্ধন বাতিল করেন। বিয়ে পক্ষের লোকজনের পরিকল্পনা ও হুমকী-ধামকীতে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই তিনি থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন (যার নং- ১০২২, তাং- ২৪-০৭-২০২০ইং)। এ নিয়ে কথা হলে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া (৬৫) জানান, বর শামীম মিয়া তার নাতী। আর কনে বর শামীমের ভাগ্নী। স্থানীয় মৌলভী আসাদুল হক এ বিয়ে পড়িয়েছেন। মৌলভী আসাদুল হক স্থানীয় মসজিদের ঈমাম। বিয়েতে ইউপি সদস্য শামছুল হক সরাসরি জড়িত। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মামা-ভাগ্নি (বর-কনে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাসরসহ এক ঘরেই রয়েছেন। তারাপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড’র মেম্বর শামছুল হক জানান, তিনি এ বিয়েতে সরাসরি জড়িত আছেন। এমনকি, বিয়ে নিবন্ধনে কাজীকে রাজী করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বিয়ের মোহরানা উল্লেখ করা হয়েছে ২ লাখ টাকা। ইউপি সচিব শাহীন মিয়া জানান, তার স্বাক্ষর সম্বলিত যে জন্ম সনদ দেখানো হয়েছে তা তিনি জানেন না। তার স্বাক্ষর কে বা কারা জালিয়াতি করেছেন বলে দাবি করেন।ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, শামীম মিয়া নামীয় ঐ জন্ম সনদে তিনি কোন স্বাক্ষর করেন নি। কে বা কারা তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে। এজন্য তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৪ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল